ল্যাপারোস্কপি : আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি

 

ল্যাপারোস্কপি : আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি

প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা পদ্ধতিও এগিয়েছে অনেক দূর। আধুনিক চিকিৎসার তেমনই এক অনন্য নাম ল্যাপারোস্কপি। ল্যাপারোস্কপি এমন এক চিকিৎসা পদ্ধতি, যার মাধ্যমে পেট না কেটে শুধু ছোট ছিদ্র করে একটি সরু নল ঢুকিয়ে পেটের বিভিন্ন অংশ দেখা হয়। এ জন্য রোগীকে প্রথমে অজ্ঞান করে নেওয়া হয়।

যেসব কারণে ল্যাপারোস্কপি করা হয়
ষপিত্তথলিতে পাথর হলে ষঅ্যাপেনডিক্সের প্রদাহ ষহার্নিয়া অপারেশন ষখাদ্যনালির ছিদ্র অপারেশন ষবন্ধ্যাত্বর কারণ নির্ণয় ও চিকিৎসাষজরায়ু ও ডিম্বকোষের টিউমার নির্ণয় এবং চিকিৎসা ষজরায়ু অপারেশন ষবন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন ষসাধারণ পরীক্ষায় পেটে ব্যথার কারণ খুঁজে না পাওয়া গেলে।
কখন ল্যাপারোস্কপি করা উচিত নয়
ষরোগী অজ্ঞান করার জন্য উপযুক্ত না হলে
ষযদি আগের অপারেশনের কারণে পেটের নাড়িভুঁড়ি ও অন্যান্য অঙ্গ একসঙ্গে জড়িয়ে পেঁচিয়ে থাকে
ষরোগীর ফুসফুসের সমস্যা বা হৃদরোগ থাকলে।
কোনো অপারেশনই ঝুঁকিমুক্ত নয়। তবে পেট কেটে অপারেশনের চেয়ে ল্যাপারোস্কপিক অপারেশনের বাড়তি কিছু সুবিধা আছে। যেমন_
ষরোগী তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে পারবে ষদীর্ঘ সময় হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন হয় না ষএ অপারেশনে ব্যথা কম হয়, সে জন্য ব্যথার ওষুধও কম খেতে হয়। ষনিয়মিত কাজে ফিরতে পারবে ষপেটের নাড়িভুঁড়ি ও অন্যান্য অঙ্গের সঙ্গে পেঁচানোর আশঙ্কা কম ষসামান্য দাগ থাকে অথবা দাগ থাকার আশঙ্কা কম ষদীর্ঘ সময় হাসপাতালে না থাকায় খরচও কম হয়।
ল্যাপারোস্কপিক অপারেশনের কিছু ঝুঁকি
ষরক্তানালি ও খাদ্যনালিতে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে। ষকোনো কোনো সময় গ্যাস সবটা পেটের মধ্যে না গিয়ে চামড়ার নিচে যেতে পারে। ষপেটের গ্যাস সম্পূর্ণ বের না হলে রোগীর ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। ষযেহেতু রোগীকে অজ্ঞান করা হয়, জ্ঞান ফেরার ঝুঁকি সব সময় থাকে। ল্যাপারোস্কপি করার আগে রোগী এবং তার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সঠিকভাবে কথা বলে নেওয়া উচিত। এ অপারেশনের ঝুঁকিগুলো কী, ঝুঁকিতে পড়লে পরিত্রাণের উপায় কী, এর বিকল্প কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি আছে কি-না, এসব বিষয় নিয়ে কথা বলা উচিত। সব বিবেচনা করেই ল্যাপারোস্কপি করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

প্রফেসর ডা. সালমা ইয়াসমীন চৌধুরী
সার্জারি বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল

সমকাল পত্রিকা